ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

সারাদিনের বৃষ্টিতে প্লাবিত কক্সবাজার শহর

ওমর ফারুক হিরু :: কক্সবাজারে গতকাল সারাদিনের ভারি বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে শহরের নীচু এলাকা। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট। ধ্বসে পড়েছে পাহাড়। এতে সৃষ্টি হয়েছে জনদূর্ভোগ। এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে অব্যাহত রয়েছে তিন নাম্বার সর্তক সংকেত।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে শহরের বাজারঘাটা, পেশকার পাড়া, গোলদিঘীর পাড়, পানবাজার সড়ক, কলাতলী সহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি উঠে গেছে। যার উচ্চতা কোথাও কোথাও ছিল কোমর পর্যন্ত। এই টানা বৃষ্টিতে খাজা মঞ্জিল, পাহাড়তলী ও লাইট হাউস সহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট-খাট পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। শহরের শহিদ স্মরণীসহ বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে পড়েছে গাছ-পালা। এছাড়া প্লাবিত হয়েছে শহরের পশ্চিম বাহারছড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া সহ বেশ কিছু নীচু এলাকা। হঠাৎ দিনব্যাপি ভারী বৃষ্টি পাতের ফলে সৃষ্টি হয়েছে জন দূর্ভোগ।
শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার বাসিন্দা জাফর আলম জানান, আগের দিনও সব স্বাভাবিক ছিল। শুকনো ছিল বাড়ির আঙ্গিনা। কিন্তু হঠাৎ দিনব্যাপি বৃষ্টিপাতের ফলে জলাবদ্ধতা হয়ে রীতিমত বাড়ির ভিতরে পানি ঢুকে গেছে। এতে পরিবার নিয়ে কষ্টকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
কুতুবদিয়া পাড়ার টমটম চালক লিয়াকত মিয়া জানান, সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন ভাড়ার জন্য। কিন্তু সারাদিনের বৃষ্টিতে পড়েছেন চরম বেকায়দায়। একেতো বৃষ্টি ঠেকাতে তার গাড়িতে ছিলনা পর্দা তারমধ্যে বাজার ঘাটায় অতিরিক্ত পানিতে ডুবে ব্যাটারী গিয়েছে নষ্ট হয়ে।

শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী রিফাত হোসেন জানান, কদিন ধরে পর্যটক আসাতে ভালই ব্যবসা হচ্ছিল। কিন্তু এই ভারী বর্ষণে ভাল’ই ক্ষতি হয়েছে। সারাদিন কোন ক্রেতা আসেনি। তার মধ্যে দোকানের ভিতর পানি ঢুকে গেছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মুজিবুল হক জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নাম্বার সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সাথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: